২০২৫-এর প্রাক-বাজেট আলোচনায় কয়েকটি মন্তব্য ও প্রস্তাব
বণিক বার্তা |
সম্পাদকীয় | বাজেট ভাবনা |
২৩ মার্চ, ২০২৫ |
ড. সাজ্জাদ জহির |
সেবাদানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে অগ্রগতি দেখা গেলেও এখনো এ বছর থেকে অনলাইনে কর জমা দেয়ার আশায় আছি। তবে কয়েকটি সহজলব্ধ কাজে অগ্রগতি হচ্ছে না কেন, সেটা আমাকে অবাক করে।
১. যেকোনো প্রস্তাব, তা বর্তমান অবস্থা চলমান রাখার জন্য হোক অথবা তা পরিবর্তনের জন্য হোক, অথবা নতুন কোনো রীতি প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে হোক, গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ের ক্ষেত্রে তার পটভূমি, চলমান অবস্থার অযৌক্তিকতা বা যৌক্তিকতার ভিত্তিতে তা পরিবর্তন বা অপরিবর্তিত রাখার কারণ এবং নতুন প্রস্তাবের তাৎপর্য উল্লেখ করা রীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। শেষোক্ত ক্ষেত্রে রাজস্ব, খরচে সাশ্রয়, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি এবং বৈষম্য কমানোতে উদ্যোগটির তাৎপর্য বিবেচনায় নেয়া হবে বলে আশা করব। সর্বোপরি, প্রস্তাবিত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের সুবিধা-অসুবিধা ধর্তব্যে আনা প্রয়োজন।
২. সেবাদানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে অগ্রগতি দেখা গেলেও এখনো এ বছর থেকে অনলাইনে কর জমা দেয়ার আশায় আছি। তবে কয়েকটি সহজলব্ধ কাজে অগ্রগতি হচ্ছে না কেন, সেটা আমাকে অবাক করে। যেসব পারাপারে (যেমন সেতু পারাপার) সরকার আরোপিত টোল ধার্য রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে টোল কেন্দ্রে ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করে স্থানীয়ভাবে মোবাইলভিত্তিক সফটওয়্যার প্রয়োগে টোল সংগ্রহ কার্যকরে বিলম্ব দেখছি। সার্বিকভাবে তথ্যপ্রযুক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার চিহ্নিত করে যেসব ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হবে তা চালু করা। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের এবং তথ্যপ্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট সংস্থার অর্থায়ন ও সহায়তায় স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ সেবা চাহিদা মেটাতে প্রয়োগধর্মী সফটওয়্যার (software application) উন্নয়নের জন্য (ডেডিকেটেড) বিনিয়োগ জরুরি। এটা করতে পারলে লাইসেন্স ফির নামে বিশাল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় সম্ভব হবে। একই সঙ্গে প্রযুক্তি ও স্থানীয় চাহিদার আন্তঃসংযোগ প্রতিষ্ঠা করে দেশীয় অর্থনীতিকে মজবুত করা সম্ভব। ট্রাফিক সিগন্যাল তৈরিতে ক্ষণেকের সৃষ্ট স্বপ্ন কি অংকুরেই বিনষ্ট হলো, তা জানা নেই।
৩. এটা অনস্বীকার্য যে গোষ্ঠীস্বার্থের সংঘাত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তীব্রতর হওয়ায় এবং আমাদের সমাজে একই মাত্রায় বিভক্তি আসায় তথ্যের এবং কৌশলের গোপনীয়তা রক্ষা করা অনেক সময় জরুরি হতে পারে। তথাপি সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তথ্যের উন্মুক্ততা নিশ্চিত করা জরুরি। মাত্র একটি উদহারণ দিয়ে ব্যাখ্যা করব;
হঠাৎ একদিন কর পরিদর্শন বিভাগ থেকে ফোনকল এল। জানাল যে প্রায় ছয় মাসের অধিককাল আগে আমাকে নোটিস দেয়া হয়েছিল কোনো এক আপিল রায়ে ধার্যকৃত ফাইন উল্লেখ করে। অর্থাৎ সে সময়েরও আগে নিশ্চয়ই আমাকে পুরনো কোনো এক রিটার্নসে ব্যত্যয় দেখিয়ে কারণ দর্শানো নোটিস দেয়া হয়েছিল, যার ভিত্তিতে আপিল রায়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল এবং পরিদর্শন দল সরজমিনে আমার/আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের অস্তিত্ব অনুসন্ধান করতে এসেছে। এসব কিছুই ছিল আমার অগোচরে।
করদাতার সঙ্গে কর অফিসের সব ধরনের যোগাযোগে স্বচ্ছতা আনা জরুরি। গোপনীয়তার নামে অনৈতিক লেনদেনের গোপনীয়তা রক্ষার দিন শেষ হওয়া প্রয়োজন। সেই স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার জন্য করণীয় সম্পর্কে পৃথক আলাপ হতে পারে। এ পর্যায়ে দুটো প্রস্তাব :
(ক) করদাতাকে প্রেরিত প্রতিটি নোটিসে প্রেরকের নাম, সরকারি মোবাইল নম্বর ও সরকারি চালু ই-মেইল ঠিকানা দিতে হবে। ই-মেইলের মাধ্যমে শুধু নির্দেশ-সংক্রান্ত প্রশ্ন ও ব্যাখ্যাদান বাধ্যতামূলক হওয়া প্রয়োজন।
(খ) কম ঝুঁকিপূর্ণ কিছু তথ্য আছে যা সহজে একজন করদাতা, শুধু ই-টিন এবং কর-অঞ্চলের নম্বর (বা সহজ অন্য কোনো তথ্য) দিয়ে দেখতে পাবে। সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স এবং রাজউকের প্লট-সংক্রান্ত তথ্যাদি দেখতে পাওয়ার সহজ ব্যবস্থা রয়েছে। কর পোর্টালে একজন করদাতা যেন সহজে তার জমাকৃত রিটার্নসের সর্বশেষ অর্থ বা কর বছর এবং সেই সঙ্গে তার কাছ থেকে কর অফিসের চাহিদা বা নোটিস সম্পর্কে জানতে পারে। ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষা করে এ তথ্য-তালিকা দীর্ঘায়িত সম্ভব।
বর্তমান ‘সেবা তালিকা’ দেয়ার মাধ্যমে যে দায়মুক্ত থাকার পথ এনবিআর বেছে নিয়েছে তা স্বচ্ছতা আনে না। বরং ব্যক্তি করদাতা ও কর অফিসের লেনদেনে স্বচ্ছতা আনা জরুরি।
৪. রাজস্ব বা কর/অনুদান নীতি ও রাজস্ব বা কর আদায়ের নীতির মাঝে ভিন্নতা আনার কথা গত প্রায় ২০ বছর ধরে বলছি। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে শুনেছি। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ দেখিনি। আমি এ দুই স্তরের নীতির সঙ্গে এক বা একাধিক সংস্থার সম্ভাবনা দেখি।
তবে অধিক জরুরি হলো নীতি প্রয়োগকারী অর্থাৎ যারা কর আদায় করবেন বা সেই আদায়ের তদারকি করবেন, তাদের থেকে নীতি প্রণয়নকারীদের মতবিনিময় হতে পারে, তবে নির্বাহী যোগসূত্রটা থাকা কাঙ্ক্ষিত নয়।
৫. অনেককেই উন্নয়ন দর্শনের ওপর ঢালাও মন্তব্য করতে শুনি। এ ব্যাপারে পৃথক মতবিনিময় হলে আমার মত ব্যক্ত করব যদিও পত্রিকা ও আলোচনায় আগে বলেছি। এ বাজেটে সংক্ষিপ্তাকারে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন দর্শন/ভাবনা লিপিবদ্ধ করলে উপকৃত হব।
৬. এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করব বহুকাল ব্যাংকিংকে ব্যক্তিমালিকানাধীন খাত বলে নাগরিকদের/আমানতকারীদের প্রতি রাষ্ট্রের কর্তব্য থেকে সরকার দায়িত্ব এড়িয়ে গেছে। স্বতন্ত্র পরিচালককে পর্যাপ্ত ক্ষমতায়ন না করে তার ঘাড়ে দায়িত্ব চাপানোর চেষ্টা চলছে। পরিবর্তনের লক্ষ্যে ‘মালিকানা’ ধারণা পরিবর্তন করা জরুরি। রাষ্ট্র এ-জাতীয় সেবা সরবরাহে মালিকানার লাইসেন্স না দিয়ে তা নির্দিষ্ট রীতি অনুযায়ী পরিচালনার কর্তৃত্ব দেবে। যদি সাংবাদিকদের কাছে দেয়া গভর্নরের মন্তব্য বুঝে থাকি, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের রোস্টার তৈরি করবে, যা থেকে ব্যাংক পরিচালক নিয়োগ পাবে। এমনকি পর্ষদ চেয়ারম্যান ও এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) দের জন্য পৃথক রোস্টার থাকতে পারে।
৭. একই সঙ্গে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ মোকাবেলা করতে শিল্প মালিক/উদ্যোগী, পারিবারিক ও বাণিজ্যিক খামারি, ছোট-বড় ব্যবসায়ী, তথ্যপ্রযুক্তি সেবা বাজারের উদ্যোক্তা ও ভোক্তা, সাধারণ নাগরিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পেতে ইচ্ছুক ব্যক্তি/পরিবার, বিদেশের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণে আগ্রহীরা এবং প্রশাসনে কর্মরত দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে কিছু তথ্য জনসমক্ষে আনা প্রয়োজন। এ কাজটি বাজেট বক্তব্যের প্রথম পাঠ দিয়ে শুরু হতে পারে। বিশেষত, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকে সংযুক্তির সম্ভাব্য রূপরেখা, আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারের ভবিষ্যৎ গতি-প্রকৃতি এবং কর্ম ও সেবা প্রাপ্তির সম্ভাবনা।
রাজস্ব আহরণ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি প্রস্তাব
(১) কর-বহির্ভূত অন্যান্য রাজস্বের উৎস চিহ্নিত করে নিয়মিত পাবলিক অডিটের ব্যবস্থা চালু করা এবং অডিটকারী সংস্থাকে দায়বদ্ধতার আওতায় আনা। এসব ক্ষেত্রে বিদেশী ঋণ-সংস্থার দেয়া পরামর্শ-বটিকা পাবলিক-প্রাইভেট পরিসর থেকে বেরিয়ে এসে কীভাবে অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় সম্পদের অর্থকরী ও সমাজমুখী ব্যবহার এবং তা থেকে প্রাপ্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা কী হতে পারে, সেটা খোঁজার ওপর প্রাধান্য দেয়া প্রয়োজন।
সাধারণত, কর-বহির্ভূত রাজস্ব বৃদ্ধির দিকে অধিক নজর দেয়া প্রয়োজন।
(২) ন্যূনতম তিনটি খাতে, অর্থনীতির ভাষায় যাকে আমরা আনআর্ন্ড (অনর্জিত) আয় বলি, তার প্রাধান্য বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দেখা যায়। জমি/স্থাবর সম্পত্তি, ব্যাংক সেবার বাণিজ্য ও ওষুধ কোম্পানিতে। এরও সঙ্গে এমএফএস যুক্তও হতে পারে, যা যাচাই করে দেখা যেতে পারে।
প্রথমটির ক্ষেত্রে, আমার জানামতে, আজও জমা দেয়া কর রিটার্নসের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদমূল্য নির্ণয় ও তার ভিত্তিতে করারোপ সততাকে শাস্তি দেবে এবং অসৎ ব্যক্তিদের রক্ষা করবে। তাই দৃশ্যমান সম্পদের ওপর ভিত্তি করে কর-প্রাপ্তি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। রাজউক ও অন্যান্য শহরে সমরূপ সংস্থার নিবন্ধীকরণ প্রক্রিয়া দ্রুত নিষ্পত্তি করা গেলে দালাল ও অসৎ কর্মকর্তাদের থেকে নিষ্কৃতি দিয়ে রাজস্ব আহরণ এককালীন বৃদ্ধি সম্ভব। এসবের অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণ, ডেভেলপার, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও আগাম আটকে থাকা মালিকদের মধ্যকার গিঁটগুলো সমাধানে উদ্যোগ নিলে অনেক সহজেই এ বৃদ্ধি কার্যকর সম্ভব।
একটি বিকল্প হলো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার অধীনের সম্পত্তির ওপর এলাকা বুঝে হোল্ডিং কর বৃদ্ধি করা এবং সেই অনুপাতে স্থানীয় সরকারের নির্দিষ্ট খাতে বরাদ্দ কমানো ও সরকারি সাশ্রয় অর্জন।
ব্যাংকসেবা থেকে বিশাল অংকের মুনাফা ও তথাকথিত ‘যোগ্যতা’র অজুহাতে অধিক বেতন এবং বোনাসের চল বহুদিনের। অথচ বাজারে সৃষ্ট অবস্থার কারণে কারো কারো পক্ষে এ অনর্জিত আয় করা সম্ভব হচ্ছে। আমার জানামতে, যারা পারছে না, তার জন্য তাদের যোগ্যতার চেয়ে নিকটঅতীতে তাদের পর্ষদের অসাধু কর্মকলাপ এবং রেগুলেটরি সংস্থার অসৎ কর্মকর্তারা দায়ী। একই অবস্থা দেখা যায় ওষুধ কোম্পানির ক্ষেত্রে। অর্থাৎ বাজারে সৃষ্ট স্বল্পকালীন পরিবর্তনের ফলে যারা অনর্জিত আয় করছেন, তাদের বাড়তি আয়ের ওপর অধিকমাত্রায় করারোপ করা যেতে পারে, যা ব্যক্তির বোনাসসহ আয় এবং কোম্পানির মুনাফার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
(৩) দ্বৈত-নাগরিকত্বের আড়ালে অনেক কনসালট্যান্ট উপদেষ্টা ও পরামর্শকদাতা আজকাল অধিক আয় ও অন্যান্য সরকারি সুবিধা ভোগ করছেন। তারা আসা-যাওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে নিবাসকাল কমিয়ে ‘অনিবাসী’ সেজে বিদেশী সরকারকে কর দিতে আগ্রহী থাকবে। এ শ্রেণীর কর্মজীবীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান তাই উপযুক্ত কর প্রণয়ন করে রাজস্ব বৃদ্ধি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দ্বৈত দেশের করচুক্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে এ-জাতীয় কর্মজীবীদের চুক্তিতে কর-সম কাটতি সংযুক্ত থাকতে পারে।
(৪) জনৈক উপদেষ্টা সঠিকভাবেই লক্ষ্য করেছেন যে অনেক জমি অহেতুক অধিগ্রহণের ফলে সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহার হচ্ছে না। সেসব চিহ্নিত করে, বিক্রি অথবা অর্থকরী কর্মকাণ্ডে তা ব্যবহার করে রাজস্ব বৃদ্ধি সম্ভব।
(৫) করবিহীন গাড়ি আমদানির সুবিধা চিরতরে বন্দ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত সুবিধা দেয়া থেকে রাষ্ট্র কী পেল তা যাচাই করে দেখা প্রয়োজন।
কিছু অনুদানযোগ্য খাত
<১> স্বাস্থ্যসেবা – বিশেষত সমাপ্ত বা অর্ধসমাপ্ত হাসপাতাল, নার্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং স্বাস্থ্যবীমা।
<২> শিক্ষা খাত – স্থানীয় সমস্যাকেন্দ্রিক বিজ্ঞানচর্চার যেকোনো উদ্যোগ।
<৩> তথ্যপ্রযুক্তি – নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে রেখে মেধাসম্পন্ন তরুণ ও প্রবীণের সংমিশ্রণে একটি বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা নির্দিষ্ট অর্জনকে লক্ষ্যে রেখে তার কর্ম পরিচালনা করবে। ব্যাংক খাতে প্রয়োগযোগ্য সফটওয়্যার তৈরি ও উন্নয়নে নিয়োজিত এমন একটি প্রতিষ্ঠান করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহায়তা ও সক্রিয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা।
সাজ্জাদ জহির: নির্বাহী পরিচালক, ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপ
Source: https://bonikbarta.com/editorial/CbnstJ837b5qP5Ts